Table of Contents
ফেসবুক অটোলাইকের অসুবিধা ও ক্ষতিকর কত টুকু?
আমরা যারা ফেসবুক ব্যবহার করি তারা এটাই ধরে নেই প্রচুর লাইক থাকা মানেই সেলেব্রেটি। যার পোষ্টে যত লাইক সে ততখানি ফেমাস।
আর এই ধারনা থেকেই আমরা ফেসবুকে লাইক বাড়ানোর জন্য হুমরি খেয়ে পরে কিন্তু আমরা ঠিক এটা কখনোই ভাবি না যা এটি ব্যবহার করায় আমাদের কি ক্ষতি হচ্ছে না সুবিধা হচ্ছে?
তাই আজকের বিস্তারিত এই আর্টিকেলে আমরা ফেসবুক থেকে অটোলাইক নেয়ার ক্ষতিকর দিক গুলি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করি পুরো টা পড়ে নিবেন।
ফেসবুক অটোলাইক এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলি।
তার আগে আমাদের জেনে নেয়া উচিৎ ফেসবুক অটোলাইক কি!!!
ফেসবুক অটোলাইক হচ্ছে মূলত একটি ৩র্ড পার্টি সেন্সেটিভ ওয়েবসাইট যেখান থেকে আপনাকে টোকেন এলাউ করে নিয়ে সাইটে লগিন করতে হবে এবং আপনি যখন লাইক জেনারেট করবেন তখন অই সাইটে লগিনকৃত টোকেন এর অন্য ব্যক্তিদের লাইক অটোমেটিক ভাবে আপনার পোষ্ট বা ছবি তে চলে আসবে আবার আপনার লাইক ও অইসকল ব্যক্তিদের প্রোফাইলে চলে যাবে এবং যেটি আপনি বুঝতেও পারবেন না।
ফেসবুক এর অটোলাইক এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলি।
১। ফেসবুক অটোলাইক নেয়ার ফলে কয়েক ধাপে আমাদের ব্যাক্তিগত একাউন্টের ক্ষতি হতে পারে,তার মধ্যে প্রধান কারন হচ্ছে ফেসবুক একাউন্ট ডিজাবেল।
২। অটোলাইক নেয়ার ফলে আমাদের বা আপনার ব্যক্তিগত একাউন্ট যেকোন সময় লক বা ভেরিফিকেশন এর সম্মুখীন হতে পারেন।
৩। অটোলাইক যখন নেয়া হয় তখন সেখান থেকে আমাদের লাইক বা ফলো অন্যদের একাউন্টে রিডেরেক্ট হয়ে যায় যার জন্য অনেক সময় আমাদের অবর্তমানে বিভিন্ন খারাপ ছবি তে বা পেজের ছবি গুলি তে লাইক চলে যায়, যা অনেক সময় আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে েটি মান হানিকারক হয়ে যায় এর জন্য।
৪। বিভিন্ন ধরনের ভেরিফিকেশন আমাদের সামনে চলে আসে।
৫। যেকোন সময় আমাদের একাউন্ট গুলি হ্যাকড হয়ে যেতে পারে , এ রকারন হচ্ছে আমরা যখনই অটোলাইক টোকেন নিতে যাই তখন আমাদের টোকেন সাইটে লগিন করতে হয় এবং সেটিতে ইচ্ছে করলেই উক্ত সাইটের এডমিন ফিসিং লিংক এড করতে পারে যা লগিন করার সাথে সাথে টোকেন আমরা ঠীকই পাই কিন্তু আমাদের ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড চলে যায় এডমিন এর কাছে।
আবার যে সকল সাইটে লগিন ছাড়া টোকেন এলাউ করি একাউন্টে লগিন করে, সেখান থেকে ব্লুক সার্ভার এর মাধ্যমে আপনার একাউন্টের এপাই সহ কুকিজ ও চলে যায় এডমিন এর কাছে।
৬। ফেসবুক থেকে অটোলাইক নিলে হতে পারে জেল এর কারন হচ্ছে আপনার একাউন্ট থেকে অটোমেটিক ভাবে অপরাধ মূলক ছবি তে রিয়েক্ট চলে যেতে পারে।
অটোলাইক নেয়া বন্ধ করতে কি করা উচিৎ?
অটোলাইক নিয়ে ফেমাস হবেন ঠিকই তবে সেটি সুবিধার থেকে অসুবিধা আপনার জন্য বেশি হবে, কারন এটি নেয়ার পর একাউন্ট অনেক সময়ে যেহেতু ডিজাবল হয় সেহেতু এটি পার্মানেন্ট ডিজাবল হয়ে থাকে।
তাই এটি নেয়া আজকে থেকেই আপনার বন্ধ করা উচিৎ।
ফেসবুক এখন অনেক আপডেট করেছে তাদের সার্ভার এর। তাই এখন এই কাজ টি করতে গেলেই ইন্সট্যান্টই আপনার আইডী লক হয়ে যাবে।
আর যদি কোন ভাবে টোকেন এক্সেস বা জেনারেট করে থাকেন তাহলে আপনি প্রথমে আপনার ফেসবুক একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে ফেলুন।
কারন যতক্ষন না ফেসবুকের পাসওয়ার্ড পাল্টাবেন ততক্ষন আপনার এলাউ করা টোকেন থেকে আপনার অবর্তমানে লাইক যেতেই থাকবে।
চাইলে আপনি আপনার একাউন্টে ব্যবহার করা মেইল টিকেও চেঞ্জ করে নিতে পারেন এতে করে হ্যাক হবার চান্স কমে যাবে।
মূল কথা ফেমাস হবার নেশার ডূবে কখনোই অটোলাইক ব্যবহার করা যাবে না, আপনি লীগ্যাল ওয়ে তে ফলোয়ার্স বৃদ্ধিসহ ফ্রেন্ড বাড়িয়ে লাইক বাড়াতে পারেন এতে কোন সমস্যা হবে না তবে চেষ্টা করবেন লিমিটেশন রেখে ফেসবুক এ লাইক কুড়িয়ে ফেমাস হবার জন্য।
তো বন্ধুরা এটাই ছিলো আজকের মূলবিষয়ক পোষ্ট ফেসবুক অটোলাইক নেয়ার কুফল গুলি।
চেষ্টা করেছি অল্পোতে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য।যদি পোষ্ট ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করে নিন বন্ধুদের সাথে আর পাশে থাকুন আপনার প্রিয় এই ব্লগে।।