ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ? ২০২০.
হাই বন্ধুরা দিন কাল কেমন ভাবে কাটাচ্ছেন, আমি আবারো আপনাদের সামনে নতুন একটি বিষয়ে লিখতে যাচ্ছি।
কারন বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং আগের থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর পাশাপাশি দিনের পর দিন ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে।
তাই হঠাৎ করেই আপনার চাহিদা তে ডেস্কটপ এর প্রয়োজইন হলো কিংবা আপনি ল্যাপটপ নিবেন কাজ এর জন্য এই নিয়ে নানা রকমের সমস্যায় পড়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না তো চলুন এই নিয়েই আজকের বিস্তারিত নিবন্ধিত ব্লগটি আলোচনা করা যায়।
তবে এখানে কিছু বিষয় না বললেই নয় যে আপনি যখন আপনার বাজেট এর সাধ্য অনুযায়ী ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার কিনতে চান তখন আপনি আগে অবশ্যই ভেবে নিবেন যে আপনি এটি ঠিক কেন কিনবেন? কি কারনেই কিনবেন?
Table of Contents
ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ..
প্রধান বিষয় হলো কাজের উপর নির্ভর এবং আপনার কাজের ধরন বুঝে আপনাকে ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কিনতে হবে।
তো চলুন আর সময় নষ্ট না করে দেখে নেই আজকের বিস্তারিত।
ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ ব্যবহার কি উদ্দ্যেশ্য নিয়ে করতে চানঃ
প্রথমেই বলি আপনি ঠিক কি উদ্দ্যেশ্য নিয়ে ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কিনবেন সেটি যেহেতু নির্ভর করে তাহলে আপনি যদি একজন স্টুডেন্স হন কিংবা অফিশিয়াল কাজের জন্য নিতে চান সেক্ষেত্রে ল্যাপটপ বেটার হবে।
ঠিক তেমন ভাবেই ফ্রিল্যাসিং এর ক্ষেত্রেও আমি আপনাকে ল্যাপটপ এর বিষয়ে সাজেষ্ট করবো।
তবে আপনি যদি দীর্ঘ সময় নিয়ে ভারী সকল কাজ যেমনঃ ভিডিও এডিটিং, এপ্স ডেভ্লোপমেন্ট,গ্রাফিক্স ডিজাইনের মত কাজ গুলি করতে চান সে ক্ষেত্রে ডেস্কটপ এর উপরে আর কোন কথা হবে না।
কারন ল্যাপটপ থেকে খুব সহজ কাজ গুলি করা যায় খুব ভালো ভাবে যেমন অফিশিয়াল কাজের জন্য কোন প্রজেন্টেশন কিংবা মাইক্রোসফট এক্সেল,ব্রাউজিং এবং ইউটিউবিং এর মত কাজ।
তো বন্ধুরা আশা করি বুঝতে পেরেছেন ল্যাপটপ এর সুবিধা গুলি আপনি তুলনা মূলক ভাবে ডেস্কটপে পাবেন না আবার ডেস্কটপ এর কাজ গুলি ল্যাপটপ এ লম্বা সময় ধরে করাও সম্ভব নয়।
আসুন দেখে নেই এর কিছু পার্থক্য এর বিষয়ে।
এর দামঃ
ল্যাপটপ এর দামের দিক থেকে ডেস্কটপ এর দাম অনেক কম।
আপনি ১৮-২৫ হাজার টাকার মধ্যে মোটামোটী ভালো এবং হাই কনফিগারের ডেস্কটপ কম্পিউটার বানিয়ে নিতে পারবেন সেখানে একটি ভালো মানের ল্যাপটপ এর দাম প্রায় ৩৫-৪৫ হাজার বা এর উপরে কিনতে হবে।
সেই দিক বিবেচনা করলে হিসাব করে দেখা যায় একটি ৫ জেনারেশন এর ডেস্কটপ এর ১৮-২৫ হাজার টাকাতেই পাবেন, সেখানে ল্যাপটপ হলে পাবেন ৩ জেনারেশন এর ল্যাপটপ।
বহনের সুবিধাঃ
খুব সহজে বহন করার জন্য ল্যাপটপের কোন জুড়ি নেই,এই দিক থেকে অবশ্যই ল্যাপটপ অনেক এগিয়ে।
আপনি চাইলেই যেকোন সময় একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার কে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে নিয়ে যেতে পারবেন না।কিন্তু ল্যাপটপ যেকোন সময়ে আপনি যেকোন জায়গা তে নিয়ে যেতে পারবেন।
তাছাড়া ল্যাপটপ ব্যাটারী ব্যাকাপের এক্সট্রা সুবিধার জন্য আপনি এটাকে দীর্ঘ সময়ে যেকোন স্থানে বসে ব্যবহার করতে পারবেন।
আর একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে জেনে রাখা ভালো কাজের সুবিধার্তে আপনার ল্যাপটপ নিয়ে যেকোন প্রতিষ্ঠান কিংবা সেমিনার এ ক্লাশ কিংবা কাজ করার সুযোগ পেলে ল্যাপটপ এর ব্যবহার আবশ্যক বলা যেতে পারে।
প্রসেসর এর দিক গুলিঃ
কম্পিউটার এর স্পীড মূলত এর প্রসেসর এর উপর নির্ভর করে।
সে ক্ষেত্রে ল্যাপটপ এর থেকে ডেস্কটপ খুব ভালো প্যারফরমেন্স দিয়ে থাকে। কারন ডেস্কটপ এর প্রসেসর তুলনা মূলত ভাবে বেশ বড় এবং এর সার্ভিসের দিক থেকে ডেস্কটপ এর প্রসেসর অনেক বেশি কাজ করতে সাহায্য করে এবং খুব তারাতারি কোন প্রকারের ল্যাগ ছাড়াই করা যায়।
ব্য়বহার এর সুবিধার দিক থেকেঃ
ব্যবহার এর সুবিধার দিক থেকে ল্যাপটপ কে এমন ভাবেই বানানো হয়েছে যে একে খুব সহজেই সচল করা যায়।
যেখানে ডেস্কটপ ইনষ্টল করতেও অনেক সময় নেয়,এবং ওপেন করার ক্ষেত্রেও ডেস্কটপ সব সময়ই ল্যাপটপের থেকে বেশি সময় নিয়ে থাকে।
আপনি ইচ্ছা করলেই যেকোন জায়গায় শুয়ে শুয়ে বা বসে বসে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন, সেখানে ডেস্কটপ কে একটি নির্দিষ্ট জায়গাতে রেখেই ব্যবহার করতে হবে।
তাই এই দিক থেকে ল্যাপটপই বিজয়ী হিসাবে ধরা যায়।
যন্ত্রাশং মেরামত এবং সংযোজনঃ
ডেস্কটপ কে খুব সহজেই আপনি মোডিফাইড করে নিতে পারবেন।
আপনি চাইলে যেকোন সময় একটি লো কনফিগারের ডেস্কটপ কে হাই প্যারফরমেন্স দেয়ার জন্য কনফিগার মোডিফাই করে হাই কনফিগারের কম্পিউটার বানিয়ে নিতে পারবেন যেটি আপনি চাইলেও ল্যাপটপে করতে পারবেন না।
এছাড়া ডেস্কটপ এর কোন পার্টেস সমস্যা হলে ডেস্কটপ এর সব পার্ট গুলি খুলে নিজেই ঠিক করা সম্ভব,কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এটিকে ভালো একজন মেকানিক বা ইঞ্জিনিয়ার দেখিয়ে ঠিক করে নিতে হয়।
গেম খেলার দিক থেকেঃ বাস্তব এটাই যে গেমিং এর দিক দিয়েও ডেস্কটপ অনেক টাই এগিয়ে তবে বাজারে বর্তমানে অনেক ভালো মানের গেমিং ল্যাপটপ ও পাওয়া যায়।
তবে সেটি বাজেট অনেক বেশি পরে সেখানে একটি ডেস্কটপে আপনি ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ করেই সেইম সুবিধা নিতে পারবেন,এবং সেটি অনেক বড় বাজেট এর ল্যাপটপেও বলা যায় সেইম সুবিধা ডেস্কটপ এর মত পাবেন না।
কোন ধরনের ল্যাপটপ ফ্রিল্যান্সিং জন্য ভালো হবে?
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপ নিয়ে থাকলে অবশ্যই বুঝতে হবে আপনি ঠিক কি কারনে ল্যাপটপ নিবেন। ঠিক সেই অনুযায়ী বাজেট এবং ল্যাপটপ এর ধরন বুঝা যাবে।
আপনি যদি গ্রাফিক্সের কাজের জন্য নিতে চান তাহলে গ্রাফিক্স কার্ড সহ ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন এরজন্য HP 840 G3-G4, ASUS ব্রান্ডের মিনিমাম ২জিবি এনভিডিয়া গ্রাফিক্স কার্ড সহ ল্যাপটপ কিনতে পারেন।
যদি ইউটিউবিং এর মত কাজ গুলি করতে চান তাহলে ৪ জিবি গ্রাফিক্স কার্ড সহ ল্যাপটপ কিনবেন।
বিজনেস ক্লাশ ল্যাপটপ গুলির মধ্যে – Lenovo ThinkPad সিরিজ টি অনেক ভালো এগুলি কে দেখতে পারেন…
আর এই ধরনের ল্যাপটপ আপনি ৪০-৫০ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন আশা করি।
পরিশেষে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ? এর বিষয়ে কিছু কথাঃ
আপনি যেমন কাজ করবেন সেই দিক বিবেচনায় রেখেই বাজেট রাখুন।কারন বর্তমান যুগে স্লো এবং লো-কোয়ালিটির ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে আপনি খুব ভালো ভাবে আপনার কাংখিত কাজ করে সামনে আগাতে পারবেন না।
আপনি ভালো কিছু নিয়ে কাজ করলে ফল স্বরুপ ভালো কিছুই পাবেন।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকের সংক্ষিপ্ত বিস্তারিত তা অবশ্যই নিচের কম্মেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।
আর ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে ভাগ করে নিবেন এতে আপনি সহ আপনার বন্ধুও কিছু জানতে পারবেন।
চাইলে আমার আরেকটি ব্লগ ঘুরে আসতে পারেনঃ এখানে ক্লিক করুন।