কারবালায় দুধের শিশুর শাহাদাত।
ইসলামের প্রতিটা বিষয় নিয়ে আমরা সবাই আছি কম বেশি জানি। তবে সত্যি আমরা কত টুকু জানি?
দেখা যায় আমাদের জানা অজানার মাঝেও রয়েছে অনেক বিষয় যেগুলি আমরা কখনো অনেকেই আছি জানতে চাই না।
তাই সে রকমই একটি জানা বিষয় এর উপর আজকের আর্টিকেল। আর সেটি হচ্ছে কারাবালার একটি ছোট্ট ইতিহাস নিয়ে।
যদিও এটি আমাদের টপিকের বাইরের পোষ্ট তবে মাঝে মাঝেই আমাদের নিজস্ব জ্ঞান বুদ্ধি কে ধার দিতেই আজকের এই পোষ্টটি লিখা।
এবং আজকের আর্টিকেল লিখেছেন “রশনী রোশ” তো চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেই।
কারবালায় দুধের শিশুর শাহাদাত নিয়ে কিছু জানা অজানা.
হোসাইন (আ:) তাঁবুর দরজায় এসে যয়নবকে বললেন- “আমার ছোট ছেলেকে দাও-তার কাছ থেকে বিদায় নেই।”
দুধের শিশুকে হাতে তুলে নিয়ে ইমাম (আ:) তাকে চুমু দেওয়ার জন্য উপরের দিকে উঠাচ্ছেন। এমন সময় হারমালা বিন কাহেল আসাদীর একটি তীর এসে শিশুর গলায় বিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে আলি আসগর শাহাদাত বরণ করেন।
হোসাইন (আ:) বললেন: এই শিশুকে নাও, নিজের হাত মোবারক শিশুর গলার রক্তস্রোতে রাখলেন।
যখন তার হাত তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়ে পড়ে, আকাশের দিকে রক্ত ছুঁড়ে বললেন-“এসব মুছিবত আমার জন্য খুবই সহজ। কেননা এ সবই আল্লাহর রাস্তায় হচ্ছে আর আল্লাহ দেখছেন।”
হযরত ইমাম বাকের (আ:) বলেন- ঐ সব রক্তকণা যা যায় ইমাম হোসাইন আকাশের দিকে নিক্ষেপ করেন একটুও জমিনে ফিরে আসেনি।
প্রখ্যাত লেখক জুরজী জায়েদান লিখেছেন –
এই দুধের শিশুর শাহাদাত হোসাইন বিন আলীর নিষ্পাপ ও মজলুম হওয়াকে দুনিয়ার প্রমাণ করে দিয়েছে।
কেননা যদি সে শহীদ না হতো সম্ভাবনা ছিল বনি উমাইয়ার প্রচারযন্ত্র জনগণকে এই বলে বিভ্রান্ত করতো যে, হোসাইন (আ:) তার একদল সঙ্গী-সাথী নিয়ে রাজত্ব লাভের জন্য যুদ্ধের ময়দানে এসেছেন।
আমরা প্রতিরক্ষার জন্যই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, আর এর ফলে তার সঙ্গী-সাথীসহ নিহত হয়েছে, এতে আমাদের কোনো দোষ নেই।”
একজন আরবি কবি বলেন-
“আবুল ফজল আব্বাস” : তার সবচেয়ে মূল্যবান প্রাণ হোসাইন (আ:) এর জন্যই উৎসর্গ করেছেন।
হোসাইন (আ:) পান করার পূর্বে তিনি নিজে পান করলেন না মানুষের কর্মের সর্বোত্তম কর্ম ও মূল কাজই তিনি করলেন,আপনিতো গৌরবের দিবসে রাসুলের দুই নাতির ভাই আর আপনি তো পানি পানের দিবসে করেছেন আত্মত্যাগ হে আবুল ফজল।
পানি টলটলায়মান-বাদশাহ তৃষ্ণায় ওষ্ঠাগত, উদ্যম তার অন্তরে হাতে রয়েছে পানির মশক। মুরতাজা সিংহ শাবকেরে হামলা করল এমন ভাবে
এ যেন অগণিত নেকড়ের মাঝে এক বাঘ,এমন একটি বদন কেউ দেখেনি। যাতে কয়েক হাজার তীর,এমন একটি ফুল কেউ দেখেনি যাতে রয়েছে কয়েক হাজার কাটা।
আশা করি আজকের ছোট এই আর্টিকেল টি আপনার ভুলে যাওয়া স্মৃতি কে কিছু টা হলেও আবার মনে কড়িয়ে দিতে পেরেছে তাই সব সময় আমাদের সাথেই থাকুন।
আশা করছি সব রকমের আর্টিকেল আপনি জানতে পারবেন। এবং ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।