কিভাবে একটি ইউনিক ইউটিউব ভিডিও বানাবেন।

by Admin

কিভাবে একটি ইউনিক ইউটিউব ভিডিও বানাবেন।

হাই বন্ধুরা আবারো আপনাদের মাঝে এসেছি একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে। যেটি আপনার পড়তে সময় লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট কিন্তু আপনি বুঝে যাবেন একটি মোটামোটি আইডিয়া এবং সেটি থেকে আপনি খুব সহজেই ভালো মানের ইউনিক ইউটিউব এর ভিডিও বানাতে পারবেন।

হ্যা আজকের আমাদের টপিক হচ্ছেই ইউটিউব এর  ইউনিক ভিডিও নিয়ে।

আমাদের সবাই কম বেশি ইউটিউবের সাথে জড়িত এবং আমরা কম বেশি সবাই চেষ্টা করি ভিডিও বানাতে আবার আমরা অনেকেই আছি যারা ঠিক ঠাক মতন বুঝতে পারি যে ঠিক কি ধরনের ভিডিও বানাতে পারলে আমরা ভালো একটি পজিশন পাবো?


ইউটিউব হচ্ছে বর্তমানে সব থেকে বড় ভিডিও মার্কেটিং সাইট যেখানে রয়েছে কোটি কোটি ভিডিও এবং আমরা সবাই কম বেশি চাই এই ইউটিউব থেকেই ইনকাম করতে।


কিন্তু সেখানে আমরা কেউ সাইন করতে পারি আবার কেউ পাড়ি না।
কিন্তু আজকের এই টিউন টি থেকে আপনি খুব সহজেই ইউটিউবিং এর প্রথম ধাপ বুঝতে পারবেন।
তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আজকের মূল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা।

ইউটিউবে কিভাবে ইউনিক ভিডিও বানাতে হয়?

প্রথমেই বলে রাখি ইউটিউবে যারা প্রফেশনাল্লি কাজ করতে চান তাদের জন্য এই প্লাটফর্ম টা ভেবে চিন্তা করেই কাজ করতে হবে।



এর জন্যই এই পোষ্টের বিষয় গুলো খুব ভালো ভাবে বুঝার চেষ্টা করুন।

প্রধানত বিষয় গুলিঃ
  • টপিক নির্বাচন করতে হবে।
  • খুব ভাল মানের থাম্বনাইল যুক্ত করতে হবে।
  • ইন্ট্রো এড করতে হবে
  • কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
  • রেজুলেশন খেয়াল করতে হবে।
  • কালার মডিফিকেশন খেয়াল করতে হবে।
  • সাউন্ড কোয়ালিটি ফুল করতে হবে।
  • অত্যাধুনিক ক্যামেরা এবং বয়া ও অন্যান্য সরঞ্জাম রাখতে হবে।
  • ডিটেইলস বা ডেস্ক্রিপশন লিখতে হবে।

১।টপিক নির্বাচন করতে হবেঃ টপিক হচ্ছে একটা ভিডিও তৈরি এর মূল লক্ষ্য।

আপনি কি ধরনের ভিডিও করবেন না করতে চাচ্ছেন সেটি যদি বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি ভিডিও তৈরী করে আগাতে পারবেন না। 
আপনি যদি চ্যানেল টপিক খুলেন রহস্য নিয়ে কিন্তু আপ্লোড করতে টেক রিলেটেড ভিডিও তাহলে তো সেটি আপনার জন্য শুভফল নিয়ে আসবে না।

আবার আপনি যদি আপনার টপিকের মার্কেট খুব বড় হয়ে থাকে তাহলে প্রথম অবস্থায় কখনোই অই টপিক নির্বাচন করা ভালো হবে না।

তাই প্রথমে ভাবুন কি ধরনের কাজ আপনি জানেন এবং কি ধরনের ভিডিও বানাতে পারবেন।

২। থাম্বনাইল যুক্ত করুনঃ থাম্বনাইল হচ্ছে একটি ইউটিউবের ভিডিও এর জন্য ২য় টেকনিক।
খুব ভালো মানের এবং আকর্ষনীয় থাম্বনাইল তৈরী করার চেষ্টা করুন । 
এবং ভিজিটর দের আকৃষ্ট করা যায় এমন ভাবে থাম্বনাইল কে ইউনিক করার চেষ্টা করুন। 

এতে আপনার ভিডিও এর প্রতি মানুষে ইন্টারেষ্ট হবে এবং ভিজিটরগন আপনার ভিডিও দেখবে।

৩। ইন্ট্রো তৈরি করুনঃ ভিডিও শুরু ১০ পরে একটি ২-৩সেকেন্ড এর একটি সুন্দর আকর্ষনীয় ইন্ট্রো ভিডিও বানান এবং ভিডিও তে এড করুন। 
এতে ভিডিও দেখতে অনেক ইউনিক লাগে। এবং ভিডিও শেষে পারলে ছোট করে আরেকটি আইউট্রো দিন।


৪। কিওয়ার্ড রিসার্চ করুনঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ হচ্ছে ভিডিও এর জন্য অন্যতম প্রধান বিষয়।। 
এটি এসইও এর মতই। 

কারন মানুষ ইউটিউবে কি পরিমান সার্চ করছে এবং কি লিখে সার্চ করছে এবং এর মান্থলি সার্চ ভলিয়্যুম কত কিংবা ভিডিও মানুষ সার্চ করে কত জন দেখছে এটাই মূলত কিওয়ার্ড রিসার্চ

যেমন আপনি ইউটিউবে গিয়ে লিখেন “Bangla eid natok 2020” এইটাই মূলত কিওয়ার্ড এবং এই কিওয়ার্ডের ভিত্তিতে কি পরিমান মানুষ ভিউ করে সেটি আপনাকে বুঝতে হবে।

আর এভাবে রিসার্চ করে ভিডিও নিয়ে কাজ করলে অল্প দিনেই আপনি সাফল্য পাবেন।

কারন এর উপর ভিত্তি করেই আপনি ভিডিও বানাবেন এবং টাইটেল দিবেন। আর টাইটেল টাই হচ্ছে এক এক কিওয়ার্ড সুতরাং বন্ধুরা এটি খুব ভালো ভাবে মনোযোগ দিবেন।

৫। ভিডিও রেজুলেশন খেয়াল করুনঃ ভিডিও নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই ভালো মানের রেজুলেশন রাখতে চেষ্টা করবেন। 

লো কোয়ালিটিফুল রেজুলেশন এর ভিডিও পাব্লিশ করলে মানুষ দেখতে চায় না বা যারা দেখতে আসে তারা বুঝতে পারে না বলেই তাদের ইন্টারেষ্ট হাড়িয়ে ফেলে। 

তাই ভিডিও বানাতে ভালো মানের পিসি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।

৬। কালার মডিফিকেশন খেয়াল করতে হবেঃ ভিডিও তৈরি করার সময়ে কালার এবং এর ক্লিয়ারিটি এর দিকে নজর দিবেন। 

খুব বেশি কন্ট্রাষ্টা বাড়াবেন না আবার খুব বেশি কালার ফুল কিংবা হিজিবিজি করে ফেলবেন না।
এতে ভিডিওর মান নষ্ট হয়ে যায়।

তাই এ ধরনের সমস্যা গুলি থেকে চেষ্টা করবেন প্রিমিয়াম প্যাকের ভালো ইফেক্ট দিয়ে ভিডিও বানাতে।

৭। সাউন্ড কোয়ালিটিঃ ভিডিওএর সাউন্ড কোয়ালিটী যেনো ঠিক থাকে এ বিষয় টিও আপনাকে দেখতে হবে। 
ভিডিও তে খুব বেশি নয়েজ না আসে কিংবা সাউন্ড এর ক্লিয়ারিটি ভালো না হলে ভিডিও এর রিচ ধরে রাখতে পারবেন না। 
এবং এর ফলে আপনি ভালো কিছু করতে পারবেন।

আর চেষ্টা করুন নিজের ভয়েস দিয়েই ভিডিও বানাতে এতে কপিরাইট এর মত সমস্যা হবে না। 

কিংবা কপিরাইট ফ্রি সাউন্ড এড করেও ভিডিও ইউনিক বানাতে পারবেন খুব সহজেই।

৮। অত্যাধুনিক ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জামঃ ভিডিও শ্যুটের জন্য অবশ্যই ভালো মানের ক্যামেরা ব্যবহার করুন। এতে ভিডিও এর কোয়ালিটি দেখতে ভালো লাগে।

এবং ভয়েস রেকর্ডের জন্য বয়া ও ট্রাইপড কিংবা গিম্বল দিয়ে শ্যুট করে ভিডিও করুন। 
এগুলি একটি ইউনিক ভিডিও তৈরি করার মান অনেক গুনে বাড়িয়ে দেয়।

তাই চেষ্টা করুন এই ধরনের গ্যাজেট গুলি ব্যবহার করার।

৮। ডিটেইলস বা ডেস্ক্রিপশনঃ সব সময় ডিটেইলস এবং ডেসক্রিপশন বক্সে ভালো কোয়ালিটিফুল লেখা লিখবেন এবং এটিকে ফাকা রাখবেন না।

ডেসক্রিপশন এর ব্যবহারে একটি ভিডিও এর ইনফরমেশন খুব অল্প করে লিখে দিন এতে ভিজিটর ভিডিও এর ঘটনা খুব তারাতারি বুঝবে এবং ভিডিও প্লে করবে।

তাছাড়া ভিডিও এর ডেসক্রিপশন এড করলে সেখানে আপনার মেইল এবং আপনার কন্টাক ইনফরমেশন দিয়ে দিবেন এতে করে আপনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রোমোশনাল অফার পাবেন যেগুলি থেকে আপনি বাড়তি একটি ইনকাম পাবেন।

তো বন্ধুরা ইউটিউবিং টা যেমন সহজ ঠিক ততটাই কঠিন। 

আর একটি ভিডিও তৈরী করে ছাড়তে প্রচুর কাঠখড় পুরতে হয় একজন ক্রিয়েটরের এর কাছে।

তাই চেষ্টা করুন নিজেই নিজের কন্টেন্ট দিয়ে ইউনিক ধরনের ভিডিও বানাতে। 
কারন মানুষের ভিডিও নিয়ে কপি করে ব্যবহার করলে খুব বেশি দিন টিকবেন না।
তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন একটি ইউনিক ভিডিও বানাতে।

আজকের টিউন টি আপনাদের কেমন লাগলে? 
আশা করছি মোটামোটি বুঝে গেছেন কি কি করতে হবে এবং কি ধরনের কাজ করে একটি ইউনিক ভিডিও বানানো যায়। তাই যদি ভালো লাগে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং নিচের কম্মন্ট বক্সে জানাবেন।

Related Posts

Leave a Comment