হযরত আব্বাস (আ:) এর শাহাদাত
বীরত্ব ও আনুগত্য এ দুটো শব্দ শুনলেই মনে পড়ে যায় কারবালার সেই বীর হযরত আব্বাস (আ:), ইমাম হোসাইন এর ভাই এর কথা, বুঝতেই পারছেন হযরত আব্বাস (আ:) এর শাহাদাত।
যিনি সারা জীবনই ইমাম হোসেনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
তার মত বাহাদুর কারবালার মাঠে অন্য কেউ ছিল না বললেই চলে।
আজকের এই সংক্ষিপ্ত ইসলামিক পোষ্ট টি পাঠকের উদ্দ্যেশে লেখার কারন একটিই, সেটি হচ্ছে আমরা অনেক সময় আমাদের দোষ গুন শিষ্ঠাচার এর উর্ধ্যে চলে যাই হয়তো এ বিষয় গুলি আমাদের কখনোই কাম্য নয়।
যার কারনেই আজকের এই লেখা কারন এখান থেকেই জানতে পারবো সেই বীর এর আনুগত্য যিনি ছিলেন অত্যন্ত একজন ন্যায়বান মানুষ।
তাকে যুদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হয়নি, যদি দেয়া হতো তাহলে ইয়াজিদ বাহিনীর কোন দল নিয়ে বেঁচে থাকতে পারতো না আর ইতিহাস লেখা হতো।
ইমাম হোসাইন (আ:) যুদ্ধ করার জন্য কারবালায় এসেছিলেন,প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দ্বীন বাঁচানোর জন্য,ন্যায় কাজে আদেশ এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করার জন্য এসেছিলেন।
ইয়াজিদ বাহিনী ৭ মহরম থেকে ইমাম হোসেইন (আ:) ও তার পরিবারের সকলের জন্য পানি বন্ধ করে ফুরাত নদীতে পাহারা লাগিয়ে দেয়।
সকল শিশুরা ১০ মহরমে ক্ষুধার্ত ও পিপাসায় কাতর হয়ে পানি পানি বলে চিৎকার করছিল । এর মধ্যে ইমাম হোসাইন (আ:) এর ৪ বছরের শিশু বিবি সকিনা চাচা হযরত আব্বাস (আ:) এর নিকট শুকনো ঠোঁট নিয়ে পানির আবদার করছেন।
হযরত আব্বাস (আ:) পানি আনার অনুমতি নিয়ে ফুরাত নদীর তীরে ঘোড়া নিয়ে ছুটলেন।
সেখানে জালিমদের তার পথ থেকে সরিয়ে পানির নিকট পৌঁছে মশকে (পানি রাখার পাত্র) পানির ভরে খিমার দিকে আসার চেষ্টা করলেন।
তখনই পাপিষ্ঠ জালিমরা তার উপর তীর, বর্ষা নিক্ষেপ করতে লাগলো।
সেই তীরে তার চোখে লাগে এবং দুই হাত কেটে যায়।
কোনমতে পানির পাত্র দাতেও আটকিয়ে রাখতে পারলেন না ও সে অবস্থায় ঘোড়ার থেকে মাটিতে কিভাবে পড়লেন তা লেখা সহজ নয়।
বিবি সকিনা কে পানি পৌঁছে দেওয়াটা তার ইচ্ছাই রয়ে গেলো। আর ঐদিকে খিমার সকল ছোট ছোট শিশুরা পিপাসায় কাতর হয়ে পানির অপেক্ষায় বসে থাকল কিন্তু পানি পেলো না।
হযরত আব্বাস (আ:) এর মৃত্যুর খবর শুনে ইমাম হোসাইন (আ:) এর বেচেঁ থাকার সম্বলও শেষ হয়ে গেলো। হযরত আব্বাস এর কাছে এসে ইমাম হোসাইন (আ:) কেঁদে বললেন: ও আমার ভাই আব্বাস, সারা জীবন তো আমাকে “মালিক” গেলে, এখন একবার হলেও ভাই বলে ডাকো।”
হযরত আব্বাস (আ:) এর পবিত্র মাজার কারবালার ইরাকে অবস্থিত।
(সংক্ষিপ্ত)