Table of Contents
বেহেশতের নারীকুলের নেত্রী হযরত ফাতেমা যাহারা (রা:)
পরিচয়:
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও বিবি খাদিজা (রা:) এর প্রিয়তম কন্যা বিবি ফাতেমা (রা:)। হযরত ফাতিমা যাহারা জান্নাতে নারীদের নেত্রী।
তার উপাধি সমূহ হল উম্মুল হোসাইন,উম্মে আবিহা,যাহারা, তাহেরা,উম্মে আইম্মাহ, বাতুল, রাজিয়া, মার্জিয়া, সিদ্দিক , মুবারাকাহ ইত্যাদি।
শৈশবকাল:
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বকালের সেরা পরিবারে বিবি ফাতেমা তুজ জাহারা (রা:) শিক্ষা-দিক্ষা, প্রশিক্ষণে প্রতিপালিত হয়েছেন।
শৈশবকালেই তিনি তার মাতা হযরত খাদিজা (রা:) কে চিরতরে হারিয়ে ফেলেন। সে সময়ে মক্কার মুশরিক ও কাফেরদের প্রচন্ড অত্যাচার ছিল আর এ কষ্ট শৈশবে থেকেই অর্জন করেছিলেন।
হযরত ফাতেমার মর্যাদা:
হযরত ফাতেমার মর্যাদা কোরআন ও হাদিসের আলোকে অসংখ্য বাণী লক্ষ্য করা যায়।
হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন: পৃথিবীতে চারজন নারী সর্বোত্তম:
- ১. মারিয়াম ইবনাতু ইমরান
- ২. খাদিজা বিনতু খুয়াইলিদ
- ৩. আসিয়া বিনতু মুযাহিম
- ৪. ফাতেমা বিনতু মোহাম্মদ
“ফাতেমা বিশ্বে নারীদের নেত্রী আর বলা ফাতেমা বেহেশতের নারীদের নেত্রী”
বিবাহ:
আরবের শ্রেষ্ঠ ও শীর্ষস্থানের ধনী ব্যক্তিবর্গ নবীর কাছে ফাতেমা (রা:) বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে আসে। কিন্তু নবী তা প্রত্যাহার করে দেন। তিনি বলেন ফাতেমার বিয়ে আল্লাহর নির্দেশে হবে।
দ্বিতীয় হিজরীতে হযরত ফাতেমা কে আলী রাঃ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে।
ইবাদত:
এ অবস্থা থেকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন: মা! আপনি অন্যের জন্য দোয়া করলেন কিন্তু নিজের জন্য করেননি কেন? তার উত্তরে তিনি বললেন: হে আমার পুত্র! প্রথমে প্রতিবেশী এরপর নিজের জন্য দোয়া করতে হয়।
হাদীসে বর্ণিত আছে, যখন ফাতেমা (রা:) এবাদতে মগ্ন থাকতেন, তার শিশুরা যখনই ক্রন্দন করত তখন তিনি দেখতে পেতেন একজন ফেরেশতা শিশুটির দোলনা দোলাচ্ছে।
ফাতেমার প্রতি হযরত মুহাম্মদ (সা:) ভালোবাসা:
হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,হযরত ফাতেমা নবীর নিকট আসলে তিনি দাঁড়িয়ে তার হাত ধরে চুমু খেতেন এবং নিজের জায়গায় বসাতেন।
রাসুলে খোদা আরো বলেছেন:
ফাতেমা আমার দেহের অংশ এবং চোখের মনি, যে তাকে নারাজ করল ও ক্রোধ করল সে আমাকে নারাজ ও ক্রোধিত করল আর যে তাকে খুশি করল সে আমাকে খুশি করল।
শাহাদাত:
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু (সা:) এর ইন্তেকালের মাসখানেক পর ফাতেমা (রা:) ইন্তেকাল হয়। তাঁর পবিত্র কবর জান্নাতুল বাকীতে।