হাই বন্ধুরা আবারো স্বাগতম আপনাদের প্রিয় ব্লগে, যেখানে আপনি পাচ্ছেন নিত্যনতুন টিপস এর সাথে ইসলামিক জানা অজানা অনেক কিছুই।
এটি আমাদের সবার জন্য বলতে গেলে একটি উপকারী ব্লগই বলতে পারি তাহলে।
তো চলুন আজকের পর্বে কারাবালার শহীদ হয্রত আলী আকবর(আঃ) এর শাহাদাত আবার একটু জেনে নেই।
কারবালার শহীদ হযরত আলী আকবর (আ:) এর শাহাদাত
এমন সময় হযরত আলী আকবর (আ:) , ইমাম হোসাইন (আ:) এর নিকট এসে বলেন: “হে আমার বাবা, আপনি আমাকে কারবালার ময়দানে যাবার অনুমতি দিন।”
ইমাম হোসাইন (আ:) বললেন: “হে আমার যুবক, তুমি তো আমার নানা হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর প্রতিচ্ছবি। যখনই আমাকে আমার নানার চেহারা দেখার ইচ্ছা হয়। আমি তোমাকে দেখি।”
অতঃপর হযরত আলী আকবরের (আ:) ময়দানে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা দেখে ইমাম হসাইন বললেন, “হে আমার যুবক, অনুমতি আমার বোন যায়নাবের কাছ থেকে নাও, যে তোমাকে ছোট থেকে লালন পালন করে বড় করেছেন।”
হযরত আলী আকবর,বিবি যায়নাব এর খিমায় এসে ময়দানে যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন।
অনেক কান্নারত অবস্থায় তাকে ময়দানের যাওয়ার অনুমতি দেয়া হলো।
রেওয়ায়েতে আছে, যখন হযরত আলী আকবর খিমা থেকে বের হচ্ছিলেন, মনে হচ্ছিল যেন কোনো লাশ খিমা থেকে বের হচ্ছে।
হযরত আলী আকবর (আ:) কারবালার ময়দানে অনেক ইয়াজিদ বাহিনীদের হত্যা করেন।
অবশেষে শত্রুরা চারিদিক থেকে তাকে ঘিরে ফেলে। যার হাতে যা আছে তারা তাকে টা ছুড়ে মারলো। মাররা বিন মানকার্য আবদী নামক এক জালিম তার কপালে আঘাত করে যার কারণে তিনি আহত হন।
আরো এক জালিম তার বুকে এমন এক বর্ষা মেরেছিল যার কারণে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়লেন আর বলতে লাগলেন, হে আমার পিতা আমার আখেরি সালাম কবুল করুন।
তাই ইমাম হোসেন (আ:) শহীদ কারবালা ময়দানের দিকে ছুটে আসতে লাগলেন।
হযরত আলী আকবরের (আ:) পবিত্র মাজার , ইমাম হোসাইন (আ:) এর পায়ের অংশে দাফন রয়েছে।