ব্লগারে সঠিক ভাবে পোষ্ট….
এই বিষয় টি নিয়ে আমরা অনেকেই সঠিক ভাবে ধারনা পাই না বলেই আমরা আমাদের কাজের প্রতি আস্থা হাড়িয়ে ফেলি কিংবা অনেকেই মাঝ পথে ব্লগিং ছেড়ে দেই।
আপনি যদি সেই গ্রুপের হয়ে থাকেন তাহলে আজকের ব্লগ আর্টিকেল টি অবশ্যই আপনার জন্য, আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি খুব সহজেই পুরোপুরি না হলেও মোটামোটি একটি ধারনে পেয়ে যাবেন এবং আপনি খুব সহজেই জানবেন ব্লগারে সঠিক ভাবে পোষ্ট করার নিয়ম গুলি কি।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেয়া যাক কি কি কাজ গুলো করতে হয়।
ব্লগারে সঠিক ভাবে পোষ্ট করার নিয়ম গুলি কি?
কন্টেন্ট এর উপর ধারনাঃ ব্লগিং বর্তমানে একটি লাভ জনক পেশা বলেই মোটামোটি সবাই এটি নিয়ে কাজ করতে চাই কিন্তু কি নিয়ে কাজ করবো কি লিখবো?
এটি আপনাকে অনেক বেশি সাহয্য করবে আপনার কন্টেন্ট লেখার বিষয়ে।
লেবেল বাছাই করুনঃ আপনি যে বিষয়ে লিখতে চান সেটির উপর একটি লেবেল বাছাই করবেন অবশ্যই।
এবং পাঠকের কাছেও বুঝতে সুবিধা হবে যে আপনি ফেসবুক এর উপরে কন্টেন্ট পাব্লিশ করতে যাচ্ছেন।
কিওয়ার্ড বাছাই করুনঃ কিওয়ার্ড এটি একটি ব্লগের জন্য সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ন।
এই কিওয়ার্ড রিসার্চ করেই পোষ্ট বা আর্টিকেল লিখাকে বলা হয় অন পেইজ এসইও।
তাই চেষ্টা করবেন প্রথম অবস্থাতে আপনি যখন ব্লগ লিখবেন গুগলে প্রচুর কিওয়ার্ড রিসার্চের সাইট পাবেন সেখান থেকে সার্চ ভলিউম দেখে আপনার নিশ বা কাজের ব্লগ টির উপরে কিওয়ার্ড চুজ করে কাজ করার। এতে আপনি প্রচুর পরিমানে অর্গানিক ট্রাফিক পাবেন।
কারন ট্রাফিক ছাড়া একটি সাইট মরা গাঙ এর মত।
ইউজার ফ্রেন্ডলি এসইও পোষ্ট তৈরী করুনঃ সব সময় চেষ্টা করবেন আপনি যে পোষ্ট বা আর্টিকেল টিকে লিখেছেন তার গ্রামাটিক্যাল ভুল, এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি কিনা।
আপনি যা লিখছেন সেটি আপনার পাঠক কততুকু বুঝতে পারছে কিংবা আপনার পাঠকের কাজে আসছে কিনা এই বিষয় গুলি কে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে।
গ্রামাটিক্যাল ভুল থাকলে ট্রাফিক লস হতে পারে কারন আপনার কন্টেন্ট এর মূলত বিষয় পাঠক বুঝতে না পারলে আর্টিকেল স্কিপ করে অন্য পেজে চলে যাবে।
হেডিং বা টাইটেল ব্যবহার করতে হবেঃ পোষ্ট গুলি পাব্লিশ করার সময় অবশ্যই আপনি একটি হেডিং বা টাইটেল যোগ করবেন।
ইউনিক ইমেজ ব্যবহার এ আপনার আর্টিকেল বা পোষ্ট কে গুগল বা যেকোন সার্চ ইঞ্জিন অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং পাঠক ও বেশ আকৃষ্ট হয়েই আপনার আর্টিকেল রিড করবে।
চেষ্টা করুন নিজে এডিট করে একটি ইউনিক লেভেলের ইমেজ তৈরী করার, কারন আপনি যদি সাইট থেকে ইনকাম চান এডসেন্স ব্যবহার করতে চান তাহলে ইউনিক ইমেজ তৈরী অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন।
ইমেজে ALT এর ব্যবহারঃ প্রতিটা পোষ্ট বা আর্টিকেলে ব্যবহৃত ইমেজের অল্টার ইমেজ অপশন থেকে এটি লিখবেন।
এবং প্রতিটা ইমেজের নিচে এর ক্যাপশন ব্যবহার করুন।
গুগলে ইন্ডেক্স করুনঃ আমরা যারা ব্লগিং করি বা আপনারা যারা ব্লগিং করবেন তাদের অবশ্যই গুগলের ইন্ডেক্সিং বিষয় টি জানা জরুরী।
তাই প্রতিটা পোষ্ট বা আর্টিকেল গুলি প্রকাশ করার পরে েকে ম্যানুয়ালি একবার ইন্ডেক্স করে দিন।
পার্মালিংক সেটাপঃ যারা নতুন থাকেন তারা অনেকেই ব্লগারের পার্মালিংক এর গুরুত্ব বুঝেন না।
ব্যাকলিংক তৈরি করুনঃ আপনি যখন একটি সাইট পাব্লিশ করবেন তখন মনে রাখবেন এটি একটি লং টাইম জব ওয়ার্ক।
কম্পিটরকে এনালাইসিস করুনঃ সব সময় চেষ্টা করবেন আপনি যে বিষয়ে লিখছেন সেই বিষয়ে আপনার আগেই যারা লিখে আছে তাদের থেকে বেটার কিছু লিখার জন্য।
আশা করি আজকের বিস্তারিত আলোচিত বিষয় গুলি আপনি খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছেন।
কারন ব্লগিং যেমন সহজ তেমনি টিকে থাকতে গেলে অনেক কঠিন।
তো বন্ধুরা যদি আজকের এই বিস্তারিত আলোচনার বিষয়টি আপনাদের সাহায্য করে থাকে তাহলে নিচের কম্মেন্ট বক্সে আপনি আপনার মুল্যবান কম্মেন্ট জানাতে ভুলবেন না।